লক্ষণ
প্রাথমিক অবস্থায় গাছের পাতাগুলো শুকাতে থাকে এবং পরিণতিতে আখের মাথা বা উপরিভাগ মরে যায় । কখোনো আক্রান্ত গাছের মাথা সহজেই ভেঙ্গে যায় । দ্বিতীয় পর্যায়ে আক্রমণে কান্ডের গায়ে অসংখ্য ছিদ্র থাকে এবং ছিদ্রের গায়ে গুড়ার মত ময়লা এবং কীড়ার মল দেখা যায় । আক্রান্ত গাছ কখনও কখনও শিকড় গজায় এবং আখের কান্ড জড়িয়ে ফেলে এবং আনেক ক্ষেত্রে চোখ গজিয়ে গাছ বের হয় ।
প্রতিকার
• আক্রান্ত গাছ পোকাসহ তুলে ধ্বংস করা ।
* পোকামুক্ত বীজখন্ড রোপন করা ।
* পুরনো শুকানো পাতগুলো গাছ থেকে ছড়িয়ে ফেলা ও আগাম কর্তন অনুসরণ করা ।
*জমি আগাছামুক্ত রাখা
* কর্তনের পর মোথাগুলো চাষ দিয়ে কোদাল দিয়ে তুলে পুড়িয়ে ধ্বংস করা ।
আক্রমণ বেশি হলে প্রতি হেক্টর জমিতে ফিপ্রোনিল গ্রুপের রিজেন্ট/ গুলি ৩ জিআর ১৫ কেজি হারে প্রয়োগ করা অথবা ক্লোরানট্রানিলিপ্রোল গ্রুপের কোরাজেন ১৮.৫ ইসি প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি. হারে মিশিয়ে স্প্রে করা।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. একই জমিতে পরপর আখ চাষ করবেন না ।
২. গমের জমির পাশে বা গমের সঙ্গে চাষ পরিহার করা ।
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. গভীরভাবে জমি চাষ করুন
২. আগাম চাষ অনুসরণ করা ।