লক্ষণ
·
লার্ভা এবং পূর্ণবয়স্ক মাইট গাছের
কোষ ছিদ্র করে রস শোষণ করে এবং বিষাক্ত পদার্থ নিঃসৃত করে। গাছে খাদ্য তৈরি এবং পানির
স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্নিত হয়। পাতা ফ্যাকাশে, মোচড়ানো এবং নিচের দিকে বাঁকানো হয়। পাতা
চামড়ার মতো হয়ে যায় এবং শিরাগুলো মোটা হয়। পাতা এবং কচি কাণ্ড লালচে বর্ণের হয়। ফুলের
কুঁড়ি বাঁকানো এবং মোচড়ানো হয়।
·
গাছের বৃদ্ধি বিঘ্নিত হয়, কচি গাছের
আকার ছোট হয় এবং বয়স্ক গাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে ফুল ঝরে পড়ে।
·
ফল বিকৃত, ৰত বিশিষ্ট, অপরিপক্ব এবং
অসম আকৃতির হয়। ফলের উৎপাদন এবং বাজার মূল্য কমে যায়।
·
সাধারণত নতুন পাতা এবং ছোট ফলে মাইট
বেশি দেখা যায় কারণ এ পোকা শক্ত টিস্যু খেতে পারে না। লার্ভা এবং পূর্ণ বয়স্ক মাইটগুলো
পাতার নিচের দিক খেতে বেশি পছন্দ করে।
প্রতিকার
·
ফল সংগ্রহের সময় অত্যন্ত সতর্ক থাকতে
হবে যাতে সংগ্রহকারীর কাপড় এবং শরীর দ্বারা মাইটগুলো আক্রান্ত গাছ থেকে অনাক্রান্ত
গাছ বা ক্ষেতের মধ্যে ছড়াতে না পারে।
·
সেচ প্রয়োগের মাধ্যমে এর আক্রমণ কমানো
সম্ভব।
·
ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানি স্প্রে করতে
হবে। এর মধ্যে ১-২% তেল ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
·
আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে নিম্নলিখিত
মাকড়নাশক প্রয়োগ করতে হবে-
·
সালফার (কুমুলাস ডিএফ বা রনোভিট ৮০
ডবিৱউ জি বা থিওভিট ৮০ ডবিৱউ জি বা সালফোলাক ৮০ ডবিৱউ জি, ম্যাকসালফার ৮০ ডবিৱউ জি
বা সালফেটক্স ৮০ ডবিৱউ জি) প্রতি লিটার পানিতে ২.৫ গ্রাম অথবা প্রোপারগাইট (সুমাইট
৫.৭ ইসি) বা ব্রোমাপ্রোফাইলেট (নিউরোন ৫০০ ইসি) বা ডাইকোফল (ডাইকোফল ১৮.৫ ইসি) বা ইথিওন
(ইথিওন ৪৬.৫ ইসি বা সিথিওন ৪৬.৫ ইসি) প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি. হিসেবে। মাইটগুলো
সাধারণত পাতার নিচের দিকে থাকে, এ জন্য স্প্রে করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন পাতার
নিচের অংশ সম্পূর্ণভাবে ভিজে যায়।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. একই জমিতে বার বার মরিচ করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. মরিচ উৎপাদনের জন্য ছায়ামুক্ত স্থান নির্বাচন
করতে হবে।
২. সুষম সার ব্যবহার করা