লক্ষণ:
শীষকে আবৃতকারী
পাতার খোলে গোলাকার দাগ পড়ে। দাগের কেন্দ্র ধূসর ও কিনারা বাদামী রঙের হয় । দাগগুলো
একত্রে মিশে বড় হয়ে সমস্ত খোলেই ছিড়িয়ে পড়ে । আক্রমণ বেশী হলে শীষ আবৃত খোলে পঁচে যায়
এবং ছড়া আংশিক বের হয় যাতে কম সংখ্যক পুষ্ট ধান থাকে ।
ব্যবস্থাপনা:
১. রোগ দেখা দিলে
ক্ষেতে পর্যায়ক্রমে পানি দেয়া ও শুকানো। ।
২. প্রয়োজনে ছত্রাকনাশক
যেমন ফলিকুর এবং কনটাফ ১ মিলি/ লি. হারে পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করা।
৩. প্রয়োজনে আক্রমণকালে
ছত্রাকনাশক যেমন প্রোপিকোনাজল একর প্রতি ৪০০ মিলি ব্যবহার করা ।
কৃষকের আচরণগত পরিবর্তন যোগাযোগ (এফবিসিসি)
পরবর্তীতে যা যা করবেন না
১. আক্রান্ত ক্ষেত
থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না
পরবর্তীতে যা যা করবেন
১. রোগ সহনশীল
জাত যেমন বিআর১০, বিআর২২, বিআর২৩, ব্রি ধান৩১ ও ব্রি ধান৩২ চাষ করা যেতে পারে।
২. পরিস্কার পরিচ্ছন্ন
চাষ করা।
৩. লাঙ্গল দিয়ে
জমি চাষ করে শুকিয়ে নিয়ে নাড়া জমিতেই পুড়িয়ে ফেলা।
৪. সুষম পরিমানে
ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ সার ব্যবহার করা।
৫. ধানের জাত অনুসারে
সঠিক দুরত্বে চারা রোপণ করা (তবে ২৫x২০ সেন্টিমিটার দূরত্বই ভাল)।